গৃহিণীদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক এর প্রতিবেদন
স্থানঃ ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ব্রীজ সংলগ্ন কাওছারের বাড়ি।
তারিখঃ ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি.
সময়ঃ বেলা ১২.০০ ঘটিকা।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, ঝালকাঠি কর্তৃক জেলার ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ব্রীজ সংলগ্ন কাওছারের বাড়িতে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে গৃহিণীদের সাথে সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক শীর্ষক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। সকলের সহযোগিতায় আয়োজিত উক্ত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসুচি আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, ঝালকাঠি এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উক্ত কর্মসুচিতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন, নিরাপদ খাদ্য অফিসার, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ঝালকাঠি। আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মনীষ রায়, ফিল্ড অফিসার, ব্রাক, জেলা কার্যালয়, ঝালকাঠি ।
প্রধান আলোচক জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের সংক্ষিপ্ত পটভূমি ও কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যাবলী সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন। খাদ্য নিরাপদতার যাবতীয় বৈজ্ঞানিক তথ্যাদি উপস্থাপন করার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপদতার বিভিন্ন আইন ও বিধি বিধান তুলে ধরেন।
আলোচ্য বিষয় সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
১. বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের সংক্ষিপ্ত পটভূমি ও কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যাবলী বিবরণ।
২.অধিক কাপ ও অধিক তেল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তেল বেশি উত্তপ্ত করলে এবং বারবার ব্যবহার করলে তাতে ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়।
৩. রান্নায় ব্যবহৃত তৈজসপত্র পত্র কেনার ক্ষেত্রে ভালো মানের পাত্র ব্যবহার করা, বিশেষ করে টাইটেনিয়াম বা এস.এস এর পত্র।
৪.ফুড গ্রেট প্লাস্টিক ব্যবহার করা।
৫.কালিযুক্ত কাগজে খাদ্য পরিবেশন না করা।
৬. ওয়ান টাইম কাপ বা প্লেট বারবার ব্যবহার না করা।
৭. শাকসবজি ও ফলমূল ফরমালিন আতঙ্ক দূর করতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বিজ্ঞানসম্মত তথ্যবহুল ভিডিও প্রদর্শন।
৮.প্রতিদিন ৩ লিটার পানি পান করা।
৯. রঙিন ও আকর্ষণীয় খাবার বর্জন করা ও খাবার নিয়মিত ঠিক সময়ে গ্রহণের অভ্যাস করা।
১০. খাদ্য নিরাপদতা নিশ্চিতে নিয়মিত হাইজিন ও স্যানিটেশন এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ।
গৃহিনীদের করণীয়
১. ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি মেনে চলা।
২. টাটকা খাবারের সাথে বাসি খাবার মিশ্রণ না করা ।
৩.বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা ও পরিষ্কারের কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার করা।
৪. ঘরে সুস্বাদু খাবার তৈরি করা।
৫.ঘরে রান্নায় টেস্টিং সল্ট না ব্যবহার করা ।
৬.শিশুদের নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা।
৭.গৃহস্থালী কাজে অতিরিক্ত লবণের ব্যবহার পরিহার।
৮.ঘরের কাজে স্টেইনলেস স্টিলের তৈজসপত্র ব্যবহার।
৯. রান্না করার সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
১০. কাঁচা খাবার সঠিকভাবে ধৌতকরণ ও রান্না করা খাবার ঢেকে রাখা।
শিশুদের খাবার
১.দুই বছরের পর থেকে শিশুদের নিয়মিত গরুর দুধ ও ডিম খাওয়ানো ।
২. শিশুদের কম দামি রংযুক্ত চকলেট না খাওয়ানো।
৩.শিশুদেরকে খেলাধুলা উৎসাহিত করা ।
৪. চিনিযুক্ত কোমল পানীয় সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা।
৫.বাইরের অনিরাপদ পানি খাওয়া থেকে শিশুদের বিরত রাখা ।
৬.বেশি খাবার খাওয়ানো চেয়ে পুষ্টিকর খাবার বারবার খাওয়ানো।
৭.ভ্রমণের সময় ঘর থেকে খাবার প্রস্তুত করে নিয়ে যাওয়া। বাচ্চাদের নিজেদের খাবার নিজেরা গ্রহণের অভ্যাস করানো ফরমালিন সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করুন।
৮. শিশুদের মেধা ও দৈহিক বিকাশে নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার এর প্রয়োজনীয়তা।
কর্মসূচিতে নিরাপদ খাদ্য অফিসার সকলের অবহিত করেন, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক যেকোনো পরামর্শ বা অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব কল সেন্টার ১৬১৫৫ এ ফোন করে যেকোনো অভিযোগ বা পরামর্শ দাখিল করা যেতে পারে।
পরিশেষে প্রধান আলোচক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে তাদের মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । শেষ পর্যায়ে গৃহিণীদের মাঝে নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা বিতরণের মাধ্যমে সভা শেষ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস