প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি।
স্থানঃ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয়, ঝালকাঠি সদর, ঝালকাঠি।
তারিখঃ ০৬ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি.
সময়ঃ সকাল ১০.০০ ঘটিকা।
প্রতিবেদন
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত ০৬/১১/২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কার্যালয়, ঝালকাঠি এর আয়োজনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সম্মেলন কক্ষে “প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি” সফল ও সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, ঝালকাঠি এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, ঝালকাঠির সহযোগিতায় উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ও সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনাব অশোক কুমার সমদ্দার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ঝালকাঠি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সাফিয়া সুলতানা, সহকারী পরিচালক জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঝালকাঠি। সঞ্চালকের ভুমিকায় ছিলেন মীর মুঃ জাহিদুল কবির তুহিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ঝালকাঠি। র্যাপোটিয়ার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব উম্মে সালমা লাইজু, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ঝালকাঠি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা, জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন খাদ্য নিরাপদতার যাবতীয় তথ্যাদি উপস্থাপন করার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপদতার বিভিন্ন আইন ও বিধি বিধান তুলে ধরেন।
আলোচ্য বিষয় সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
প্রচলিত কিছু বিভ্রান্তি
কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার কি ঝুঁকিপূর্ন?
মোটেই নয়! সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রার মধ্যে থাকলে সম্পূর্ণ নিরাপদ।
‘‘অবশিষ্টাংশের সর্বোচ্চ মাত্রা অর্থ কোন খাদ্যদ্রব্যে বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশের উপস্থিতির সর্বোচ্চ অনুমোদিত মাত্রাকেই বুঝায়।
‘‘অবশিষ্টাংশের সর্বোচ্চ মাত্রা" মূলত: বালাইনাশকের টক্সিকোলজিক্যাল সমীক্ষা, দৈনিক গ্রহণযোগ্য মাত্রা ও দৈনিক গড় খাদ্য গ্রহণের বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার-এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রচলিত অনিরাপদ খাদ্যাভ্যাস
দেশব্যাপী বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক কার্যক্রম
শিক্ষকদের করনীয় সম্পর্কে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেনঃ-
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা, ঝালকাঠি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীগণের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
জনাব মীর মুঃ জাহিদুল কবির তুহিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ঝালকাঠি খাদ্য দূষণের বিভিন্ন কারণ ও দূষণ প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে বলেন। অনিরাপদ খাবার গ্রহণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাবের কথা বলেন। খাদ্য নিরাপদতা নিশ্চিতে নিয়মিত হাইজিন ও স্যানিটেশন এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব আলোচনা করেন।
জনাব উম্মে সালমা লাইজু, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ঝালকাঠি খাদ্যের নিরাপদতার বিভিন্ন দিক আলোচনার পাশাপাশি জনমনে বিরাজমান খাদ্যের নিরাপদতা সম্পর্কিত প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করতে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলে অংশগ্রহনকারীরা এমন আয়োজনের প্রশংসা করেন ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব সাফিয়া সুলতানা, সহকারী পরিচালক জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঝালকাঠি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এরূপ প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভার আয়োজনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন কোনো ধরণের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, গাউডলাইন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে পেতে পারে। তিনি খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ সম্পর্কিত মৌলিক আলোচনা করেন। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সমন্বিত কার্যক্রমের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সবাইকে অবগত করেন।
প্রধান অতিথি জনাব অশোক কুমার সমদ্দার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ঝালকাঠি খাদ্য নিরাপদতা বর্তমান সময়ের আলোচিত ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় । অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে জনাব অশোক কুমার সমদ্দার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ঝালকাঠি সেমিনারে উপস্থিত সকল অতিথিকে তাদের মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য এবং এমন অর্থবহ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস