Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার বাউকাঠী বি বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন
বিস্তারিত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনসচেতনতামূলক সেমিনার  কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রতিবেদন

স্থানঃ বাউকাঠী বি বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝালকাঠি সদর, ঝালকাঠি।

তারিখঃ ০৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি.

সময়ঃ দুপুর ২.০০ ঘটিকা


প্রতিবেদন  

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে  জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত ০৯/১১/২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কার্যালয় ঝালকাঠি এর আয়োজনে জেলার সদর  উপজেলার বাউকাঠী বি বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে “ নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার   কুইজ প্রতিযোগিতা”  সফল ও সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয় ঝালকাঠি এর  সার্বিক ব্যবস্থাপনা  ও বাউকাঠী বি বি মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝালকাঠির  সহযোগিতায়  উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা, জবাব মোহাম্মদ ইয়াছিন। জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা, জবাব মোহাম্মদ ইয়াছিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব গৌতম কুমার মিস্ত্রী, প্রধান শিক্ষক, বাউকাঠী বি বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝালকাঠি সদর, ঝালকাঠি; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানমেডিকেল অফিসারসিভিল সার্জন অফিস, ঝালকাঠি।  আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব পুষ্প বিশ্বাস, সিনিয়র শিক্ষক, বাউকাঠী বি বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝালকাঠি সদর, ঝালকাঠি।  সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসাবে  উপস্থিত থেকে  খাদ্য নিরাপদতা  বিষয়ে  মূল্যবান বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন। খাদ্য নিরাপদতার যাবতীয় তথ্যাদি  উপস্থাপন করার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপদতার বিভিন্ন আইন ও বিধি বিধান তুলে ধরেন।

দুপুর ২.০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই সেমিনারে সভাপতি স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে, শিক্ষার্থীদের খাদ্য নিরাপদতার বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন  নিরাপদ খাদ্য অফিসার, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ঝালকাঠি।  আলোচ্য বিষয় সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

                        ১. বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের সংক্ষিপ্ত পটভূমি ও কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যাবলী বিবরণ।

                        ২. খাদ্য ভেজাল ও দূষণ সম্পর্কিত মৌলিক আলোচনা

                        ৩.  খাদ্য দূষণের বিভিন্ন  কারণ ও  দূষণ  প্রতিকারের উপায়

                        ৪.  খাদ্য নিরাপদতা  অর্জনে পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা।

                        ৫.  অনিরাপদ খাবার গ্রহণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী  ক্ষতিকর প্রভাব

                        ৬. খাদ্য  শৃঙ্খলে  কীটনাশক,  বালাইনাশক,  ভারী ধাতু  ও অন্যান্য  দূষকের  ক্ষতিকর প্রভাব  থেকে  মুক্ত  বা  প্রভাব হ্রাস করার বিভিন্ন বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

                        ৭. শাকসবজি ও ফলমূল ফরমালিন আতঙ্ক দূর করতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত  বিজ্ঞানসম্মত  তথ্যবহুল  ভিডিও প্রদর্শন.

                        ৮. শিক্ষার্থীদের  জন্য বিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রস্তুতকৃত  পথ  খাবার বা ষ্ট্রীট ফুডের  নিরাপদতা  বিষয়ক প্রাথমিক ধারণা।

                        ৯. স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর  ট্রান্সফ্যাটের উৎস ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা ।

                        ১০. স্বুস্থ্য-সবল জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয় । 

প্রচলিত কিছু দূষণ সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেনঃ-

হলুদে লেড ক্রোমেট

মরিচের গুড়ায় ইটের গুড়া

আইসক্রিম এ কৃত্রিম রঙ

পোলাও/বিরিয়ানিতে রঙ

প্লাস্টিকের কাপে গরম চা

খাবার রাখার ক্ষেত্রে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক ব্যবহার না করা

খাবার রান্নার ক্ষেত্রে টেস্টিং সল্ট এর ব্যবহার

ফরমালিন দিয়ে মাছকে তাজা রাখা

কার্বাইড দিয়ে ফল পাকানো

চা পাতাকে বেশিক্ষন সিদ্ধ করা।

এগুলো মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

শিক্ষার্থীদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেনঃ-

  ১। অতিরিক্ত রঙিন ও রঙযুক্ত খাবার পরিহার

  ২। বাইরে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ পানি পান নিশ্চিত করা

  ৩। তেলে ভাজা খাবার পরিহার করা। (অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবারে ট্রান্সফ্যাট থাকে-২% এর নিচে নির্ধারন করা হয়েছে)

  ৪। যথাসম্ভব নিজ ঘরে প্রস্তুতকৃত খাবার গ্রহন করা।

  ৫। সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া।

  ৬। সঠিক তাপমাত্রায় খাবার সংরক্ষনের ব্যাপারে নিজেরা সচেতন হওয়া।

  ৭। নিয়মিত ফলমূল ও শাক সবজি খাওয়া (ভিটামিন আছে ও পেট পরিস্কার থাকবে)

  ৮। নিয়মিত খেলাধুলা করা ও অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা

  ৯। অতিরিক্ত লবযুক্ত ও অতিরিক্ত সুগারযুক্ত খাবার যথাসম্ভব পরিহার (চিপস, কোল্ড ড্রিংকস)

  ১০। রাস্তাঘাটে বিক্রি করা খোলা শরবত না খাওয়া।

  ১১। নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা (দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস/৩ লিটার)

  ১২। বাইরে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ পানি পান নিশ্চিত করা।

  ১৩। কালিযুক্ত কাগজে পরিবেশনকৃত খাবার পরিহার করা।

ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানমেডিকেল অফিসারসিভিল সার্জন অফিস, ঝালকাঠি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এরূপ প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন শিক্ষার্থীদের যে কোনো ধরণের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, গাউডলাইন  বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য  কর্তৃপক্ষ থেকে পেতে পারে। অনিরাপদ খাবার গ্রহণে স্বল্প  ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাবের কথা বলেন।  খাদ্য নিরাপদতা নিশ্চিতে নিয়মিত হাইজিন ও স্যানিটেশন  এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব  আলোচনা করেন।  ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্য পরিহারের কঠোর নির্দেশনা দেন।

জনাব পুষ্প বিশ্বাস, সিনিয়র শিক্ষক, বাউকাঠী বি বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝালকাঠি সদর, ঝালকাঠি শিক্ষার্থীদের জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য  নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন।  একই সাথে  তিনি শিক্ষার্থীদেরকে খাদ্য নিরাপদতা বিষয়ে আরও সচেতন ও সজাগ থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। এমন অর্থবহ ও গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের  প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এছাড়া সেমিনারটি অংশগ্রহনমূলক ও আকর্ষনীয় করার লক্ষ্যে  শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সেমিনারে আলোচিত  বিষয়ের  উপর  একটি  বিনোদনমূলক সংক্ষিপ্ত  কুইজ প্রতিযোগিতার  আয়োজন করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী প্রতিযোগীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন সেমিনারে উপস্থিত সকল অতিথিকে তাদের মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
13/11/2023
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2023